টেকনাফে ৭০ বছর বয়সী বৃদ্ধ পেলো পুলিশের ঘর!

গিয়াস উদ্দিন ভুলু, কক্সবাজার জার্নাল :


বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশে পুলিশ বাহিনীর দেশের প্রত্যেকটি থানার আওতাদ্বীন গৃহহীন অসহায় পরিবারকে একটি করে ঘর নির্মান করে দেওয়ার জন্য এক মহতি উদ্যোগ হাতে নিয়েছে।

অবশেষে সেই মহতি উদ্যোগটি সফল ভাবে বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হয়েছে স্ব-স্ব থানায় দায়িত্ব প্রাপ্ত পুলিশ সদস্যরা।

এদিকে সারা দেশের ন্যায় টেকনাফ থানা পুলিশের উদ্যোগে দীর্ঘ বছর ধরে গৃহ ছাড়া ৭০ বছর বয়সী টেকনাফের আহমদ হোছন নামে এক বৃদ্ধাকে একটি নতুন ঘর তৈরী করে দিতে সক্ষম হয়েছেন উক্ত থানায় কর্মরত পুলিশ সদস্যরা।

১২ এপ্রিল (মঙ্গলবার) বিকাল ৪ টার দিকে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের খোংকার পাড়া এলাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে ৭০ বছর বয়সী ঐ গৃহহীন বৃদ্ধা ও তার পরিবারের হাতে পুলিশের তৈরী সেই নতুন ঘরের চাবিটি হস্তান্তর করেন উখিয়া-টেকনাফ সার্কেল (অতিরিক্ত) পুলিশ সুপার শাকিল আহমেদ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, টেকনাফ মডেল থানার চৌকষ অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান,ওসি (তদন্ত) আব্দুল আলীম, অপারেশন ইন্সেপেক্টর (অপারেশন) খোরশেদ আলম, উপ-পরিদর্শক আব্দুল বাতেন, উপ-পরিদর্শক সাজ্জাদ সজীব ও অত্র এলাকার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো.শহীদুল ইসলাম প্রমুখ।

পুলিশের কাছ থেকে নতুন ঘর পেয়ে আনন্দ উৎপুল্ল হয়ে বৃদ্ধা আহমদ হোছন অভিমত প্রকাশ করে গণমাধ্যম কর্মিদের বলেন,
“ও বাজি ওক্কল আঁর ‘তু’ ঘর বাড়ী ‘ন’ আঁছিল, আই আত্বীয় স্বজনের ঘরত ঘুরি ঘুরি থাকিতাম। পরিবার লই অনেক কষ্টে আঁই জীবন যাপন গইতাম।

আঁর এখন শেষ বয়স তারপরও আঁর দুঃখ দূর্ধষা দেখিয়রে টেকনাফ থানার পুলিশ ভাইয়েরা অভিভাবকের মতো আঁই অরে আঁর পাশে থি-আঁইয়ে।

তারা আঁরে জায়গা কিনে দিয়রে এখাঁন নতুন ঘর উপহার দিয়ে”
আঁই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জেলা পুলিশ সুপার,উখিয়া-টেকনাফের সহকারী পুলিশ সুপার টেকনাফ থানার অফিসার ইনসার্জসহ অত্র থানার সকল পুলিশ সদস্যদের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

এ বিষয়ে টেকনাফ থানার ওসি মো: হাফিজুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা করেছিলেন, বাংলাদেশের কোনো মানুষ গৃহহীন থাকবে না। সেই কথাটি বাস্তবায়ন করার লক্ষে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী এই মহতি উদ্যোগটি হাতে নিয়েছে।

তারই ধারাবাহিকতায় দেশের প্রতিটি থানায় গৃহ ছাড়া একটি পরিবারকে একটি করে নতুন ঘর নির্মাণ করে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করি। অবশেষে উক্ত কর্মসূচির আওতায় আমরা দীর্ঘদিন ধরে গৃহ ছাড়া আহাম্মদ হোসেনকে একটি ঘর তৈরি করে দিতে সক্ষম হয়েছি।